দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরীর লক্ষ্যে ১৯৭৩ খ্রীষ্টাব্দে সরকারী উদ্যোগে শহরের বত্রিশ এলাকায় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে প্রতিষ্ঠা করা হয় তৎকালীন মহকুমা শহর বর্তমানে জেলা কিশোরগঞ্জের প্রথম কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিশোরগঞ্জ ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট, কিশোরগঞ্জ । ২০০৪ খ্রীষ্টাব্দে সরকারী প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির পরিবর্তিত নামকরণ করা হয় কিশোরগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, কিশোরগঞ্জ । মোট প্রায় ৪ একর ভূমির উপর এই প্রতিষ্ঠানটি শহরের কেন্দ্রস্থল গৌরাঙ্গ বাজার হতে জেলা স্মরণী মোড় হয়ে প্রায় ১ কিঃ মিঃ দূরে অবস্থিত ।
ইতিহাস
১৯৭৩ খ্রীষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হলেও এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৩ খ্রীষ্টাব্দে । কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ বৎসর মেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্স মেশিনিষ্ট ট্রেডের ২০ জন প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় । পরর্তিতে ১৯৮৫ খ্রীষ্টাব্দে আরও একটি কোর্স ফার্ম মেশিনারী ট্রেডের ২০ জন সহ মোট ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে সার্টিফিকেট কোর্স প্রদান করে আসছিল এবং ১৯৯৪ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকে ।
কারিগরি শিক্ষা আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করে দক্ষ জনশক্তি তৈরীর লক্ষ্যে ১৯৯৫ খ্রীষ্টাব্দে নতুন কারিকুলামের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষার সমন্বয় ঘটিয়ে সামাজিক ভাবে পরিচিত মাধ্যমিক পর্যায়ে এসএসসি (ভোকেশনাল) কোর্স প্রবর্তিত হয় । তৎপর ১৯৯৭ খ্রীষ্টাব্দে অনুরুপ কোর্স উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এইচএসসি (ভোকেশনাল) কোর্স চালু করা হয় । যাহা বর্তমানে অব্যাহত রহিয়াছে । বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে এসএসসি (ভোকেশনাল) কোর্স (দুই শিফট) এবং এইচএসসি (ভোকেশনাল) কোর্সে ৪ টি ট্রেড যথাঃ ১। অটোমোটিভ / অটোমোবাইল ২। ফার্ম / এগ্রোমেশিনারী ৩। জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্ক্স ও ৪। মেশিন টুলস অপারেশন চালু রহিয়াছে । প্রতিটি ট্রেডে ২০% ড্রপ আউটসহ মোট ৩৬ টি আসন রহিয়াছে । এই আসনগুলোতে প্রতিবছর মাধ্যমিক পর্যায়ে নবম শ্রেনিতে ডিসেম্বর/জানুয়ারী মাসে ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে একাদশ শ্রেনিতে মে/জুন মাসে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয় ।
এ বছর থেকে ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজিতে পলিটেকনিকের অনুরূপ ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স ও চালু হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটিতে পাঠদানের জন্য রহিয়াছে বিষয় ভিত্তিক উচ্চ শিক্ষিত ও দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী ও আধুনিক যন্ত্রপাতি ।
একাডেমিক কাউন্সিলঃ
ক্রঃ নং | শিক্ষক/কর্মচারীর নাম | পদবী |
০১ | প্রকৌঃ এ কে এম রফিকুল আমীন | অধ্যক্ষ |
০২ | সুব্রত শংকর বড়ুয়া | চীফ ইনস্ট্রাক্টর (অটো) |
০৩ | প্রকৌঃ অমিতাভ হালদার | চীফ ইনস্ট্রাক্টর (মেশিনিষ্ট) |
০৪ | প্রকৌঃ মোঃ আনিছুর রহমান ভূঞা | চীফ ইনস্ট্রাক্টর (ফার্ম) |
০৫ | প্রকৌঃ মোঃ হারুন অর রশিদ | চীফ ইনস্ট্রাক্টর (ইলেকট্রিক্যাল) |
০৬ | মির্জামাহমুদুলহাসান | ইনস্ট্রাক্টর (গনিত) |
০৭ | মোঃ আব্দুর রউফ ভূঞা | ইনস্ট্রাক্টর (গনিত) ও নিরাপত্তা ইনচার্জ |
০৮ | শাহানাজ বেগম | ইউডিএ কাম ডাটা প্রসেসর ও সদস্য সচিব |
বিগত ৫ বছরের পরীক্ষার্থী ও ফলাফল পরিসংখ্যানঃ
ক্রমিক নং | পরীক্ষার সন | পরীক্ষার নাম | |||||
এসএসসি (ভোকেশনাল) | এইচএসসি (ভোকেশনাল) | ||||||
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা | উত্তীর্ণ সংখ্যা | পাশের হার | পরীক্ষার্থীর সংখ্যা | উত্তীর্ণ সংখ্যা | পাশের হার | ||
১ | ২০১৬ | ১৮৮ | ১৭৫ | ৯৩% | ১৫৩ | ১৩৪ | ৮৮% |
২ | ২০১৫ | ১৮২ | ১৭৮ | ৯৮% | ১৭৪ | ১১৩ | ৬৫% |
৩ | ২০১৪ | ১৯৪ | ১৭৬ | ৯১% | ১৪৩ | ৪৯ | ৩৪% |
৪ | ২০১৩ | ২০৯ | ১৭৭ | ৮৫% | ১১৯ | ৯৭ | ৮২% |
৫ | ২০১২ | ২৪৮ | ২২৫ | ৯১% | ১০৫ | ৯২ | ৮৮% |
শিক্ষা বৃত্তির তথ্য : | মেধাক্রমানুসারে ৬৫% শিক্ষার্থী বার্ষিক ২৬০০/- টাকা হারে বৃত্তি এবং সকল পরীক্ষার্থী ১৭০০/- টাকা হারে শিল্প সংযুক্তি ভাতা পেয়ে থাকে।
|
অর্জন
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অত্র প্রতিষ্ঠানটি দক্ষ মানব সম্পদ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে। বিগত বছরে প্রতিষ্ঠানের এসএসসি (ভোকেশনাল) ও এইচএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় যথাক্রমে ৯৩% ও ৮৮% শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এ বছর শীতকালীন খেলাধুলার ভলিবল ইভেন্টে অত্রপ্রতিষ্ঠান জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠান হ'তে পাশকৃত অনেক ছাত্র-ছাত্রী সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত আছে। কেউ কেউ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছে। কিশোরগঞ্জের একরামপুর, গাইটাল ও শহরের অন্যান্য স্থানে অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ সমূহে কর্মরত দক্ষ কারিগরদের অধিকাংশই অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। মোট কথা কিশোরগঞ্জ জেলার দারিদ্র দূরীকরণে অত্র প্রতিষ্ঠান ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
দেশে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতের বর্তমান হার ১৪ % মাত্র । ক্ষুধা, দারিদ্র ও বেকারত্ব দূরীকরণ এবং উন্নত ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাংখিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের নিমিত্তে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার হার দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া অপরিহার্য । সময়ের এ দাবী মিটানোর উদ্দেশ্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার হার ২০২০ খ্রিঃ সালের মধ্যে ২০% এ এবং ২০৩০ খ্রিঃ সালের মধ্যে ৩০% এ উন্নীত করার লক্ষ্য ধার্য করতঃ সরকারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানটি নিরলস ভাবে কাজ করছে। ।
যোগাযোগ (ইমেইল এড্রেস, ফোন, মোবাইল, ফ্যাক্স সহ) : | Website: www.kishoreganjtsc.gov.bd/ E-mail :kishoretsc@gmail.com, Kishortsc@yahoo.com Phone & Fax No : 0941-62314 Mob : 01747-150084 Facebook: www.facebook.com/kishoretsc Skype: KishoreTSC
প্রতিষ্ঠানটি কিশোরগঞ্জের বত্রিশ বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত। |
২০১৬ সনে এসএসসিতে ২ জন এবং এইচএসসিতে ১ জন জিপিএ ৫.০০ পেয়েছে, পাসের হার যথাক্রমে ৯৩ এবং ৮৮%।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস