Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

কিশোরগঞ্জ জেলার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

কিশোরগঞ্জের ইতিহাস সুপ্রাচীন। প্রাচীনকালে কিশোরগঞ্জ এলাকা কামরূপ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীতে  পাল,  বর্মণ  ও   সেন  রাজারা  এই  অঞ্চল বা  এর  কিছু  অংশ  শাসন  করেছিলেন।  এরপর   কোচ, হাজং, গারো এবং রাজবন্দিদের অধীনে ক্ষুদ্র স্বতন্ত্র রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। ৬ষ্ঠ শতকে বত্রিশ এর বাসিন্দা শ্রী কৃষ্ণদাশ প্রামাণিকের ছেলে নন্দকিশোর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন; এ গঞ্জ থেকেই কালক্রমে ‘কিশোরগঞ্জ’ নামের  উৎপত্তি  হয়।  কিশোরগঞ্জের  মাঝ  দিয়ে  বয়ে  গেছে নরসুন্দা নদী। ঢাকা থেকে প্রায় ১৪৫ কি.মি. দূরে অবস্থিত এটি  একটি  প্রাচীন  শহর  ও  জেলা  সদর।  এই  জেলায় রয়েছে ৮টি পৌরসভা, ১৩টি উপজেলা, ১০৮টি ইউনিয়ন এবং ১,৭৪৫টি গ্রাম। কিশোরগঞ্জে রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।  এশিয়ার  বৃহত্তম  ঈদগাহ  মাঠ  ‘শোলাকিয়া’র অবস্থান  কিশোরগঞ্জে।  ঐতিহাসিক  শহীদী  মসজিদ  ও পাগলা  মসজিদের  অবস্থান  এই  শহরে।  দূর-দূরান্ত  হতে হাজার হাজার মানুষ এসে নামাজ আদায় করেন এই দুইটি মসজিদে। এছাড়াও রয়েছে বৃহত্তম কালিবাড়ী পূজামন্ডপসহ  অনেক  ধর্মীয়  উপাসনালয়।  সুপরিচিত সরকারি গুরুদয়াল কলেজ, ওয়ালীনেওয়াজ খাঁন কলেজ ও  ঈশা  খাঁ  ইন্টারন্যাশনাল  ইউনিভার্সিটি  কিশোরগঞ্জে অবস্থিত। এছাড়াও রয়েছে করিমগঞ্জের জঙ্গলবাড়িতে ঈশা খাঁর দূর্গ, পাকুন্দিয়ার এগারোসিন্দুরে শাহ মাহমুদ মসজিদ এবং  কিশোরগঞ্জ  সদরের  মহিনন্দে  অবস্থিত  ফুলেশ্বরী নদীর  ধারে  চন্দ্রাবতীর  শিব  মন্দির।  বাংলা  সাহিত্যের প্রথম  মহিলা  কবি  চন্দ্রাবতীর  জন্মস্থান  কিশোরগঞ্জে। শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী ও সুকুমার রায়ের  পৈতৃক  নিবাস  কিশোরগঞ্জে।  বাংলাদেশের  প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান এই জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জের সুযোগ্য সন্তান। 

নদ-নদী: পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ, মেঘনা, কালনী, সুতী, নরসুন্দা, ঘোড়াউত্রা, ধনু, বৌলাই, আড়িয়াল খাঁ প্রভৃতি। 

প্রশাসন: ১৮৬০  সালে  কিশোরগঞ্জ  বৃহত্তর  ময়মনসিংহ জেলার একটি মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৮৪ সালে এটি জেলায় রূপান্তরিত হয়। কিশোরগঞ্জ পৌরসভা গঠিত হয় ১৮৬৯ সালে। 

অর্থনীতি: কিশোরগঞ্জের অর্থনীতির চালিকাশক্তি অনেকটা হাওরের ওপর নির্ভরশীল। হাওরে প্রচুর মাছ পাওয়া যায় যা দেশের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করতে সক্ষম। তাছাড়া কিশোরগঞ্জে পাট, ধান এবং অন্যান্য অনেক সবজি উৎপন্ন হয়ে থাকে যা দেশের চাহিদা পূরণ করে বাইরেও রপ্তানী হয়। 

জলবায়ু: কিশোরগঞ্জের জলবায়ু উষ্ণ। কিশোরগঞ্জের গড় তাপমাত্রা ২৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতকালের তুলনায় গ্রীষ্মকালে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত হয় ২২৫০ মি.মি.।