আমনের নতুন ধান কেটে ও নেচে গেয়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জে বাংলা নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়েছে। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসবে নতুন ধানের চাল দিয়ে তৈরি করা পিঠা, পায়েস, ক্ষীরসহ হরেক রকমের খাবারের পসরা নিয়ে বসেছিলেন কৃষক-কৃষাণীরা।
বুধবার জেলার বিয়াম স্কুল মাঠে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। নবান্ন উৎসব উদযাপন উপলক্ষে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। বুধবার সকালে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম হতে ১৪২৪ বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানিয়ে একটি বর্ণাঢ্য র্যারলি বের হয়। র্যা লিটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিয়াম স্কুল মাঠে নবান্ন উৎসবের আলোচনাসভায় গিয়ে মিলিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো.আক্তার জামীলের পরিচালনায় আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস।
অন্যন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ সফিকুল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো.আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মো.আসাদ উল্লাহ, জেল কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, শহর কৃষকলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, সহকারী অধ্যাপক সামিউল হক মোল্লা, নারী নেত্রী বিলকিছ বেগম, অ্যাডভোকেট আল আমিন প্রমুখ।
এর আগে জেলা প্রশাসক বিয়াম স্কুল মাঠে স্থাপিত নবান্ন উৎসব মেলার শুভ উদ্বোধন করেন এবং মেলায় প্রদর্শিত ২২টি স্টল ঘুরে ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে জেলা সদরের মহিনন্দ ইউনিয়নের শোলমারা মাঠে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উপসচিব তরফদার মো. আক্তার জামীল নিজের হাতে আমন ধান কেটে নবান্ন উৎসবের শুভ সুচনা করেন।
সদর উপজেলার কৃষি অফিসার দিলরুবা ইয়াসমিন, স্থানীয় উপসহকারী কৃষি অফিসার উম্মে কুলসুম জেবুন্নেসা, মো.আলা উদ্দিনসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী, কৃষক-কৃষাণী, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সেই সাথে বিয়াম স্কুল মাঠে গ্রাম বাংলা ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলারও আয়োজন করা হয়।
বাংলার সংস্কৃতি ও দেশাত্ববোধক গান নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বেতার ও টিভি শিল্পীরাসহ অন্যান্য শিল্পীরা গান পরিবেশন করে উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করেন। পরে অতিথিবৃন্দ মেলায় স্থাপিত সকল স্টলকে শান্তনা ও প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারীদেরকেও পুরস্কৃত করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস