কিশোরগঞ্জ জেলার কৃষি
৭টি কৃষি পরিবেশ অঞ্চল ও ১৩টি উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ জেলার ৩টি উপজেলা সম্পূর্ণ হাওর এবং ০৫/০৪ টি উপজেলা আংশিক হাওর বেষ্টিত। হাওরগুলি জেলার কৃষি উৎপাদনে বিরাট ভূমিকা রেখে চলেছে। অতীতে কিশোরগঞ্জ জেলা পাট চাষে ছিল অগ্রগামী, কিন্তু বর্তমানে খাদ্য চাহিদার সাথে তাল মিলাতে গিয়ে পাটের জায়গা অনেকটাই দখল করে নিয়েছে ধান। আবাদের গুরুত্বের দিক বিবেচনা করলে ধানই জেলার প্রধান ফসল। রবি মৌসুমে ডাল, তৈল ও মসলাজাতীয় ফসলের আবাদও কম নয়। নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থাৎ হাইব্রিডসহ উফশী জাতের আবাদ বৃদ্ধি, সময়মত বীজ/চারা বপন, রোপন, সুষম সার প্রয়োগ, সেচ প্রদানসহ সেচ পানির সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এ জেলার উদ্বৃত্ত খাদ্যের পরিমাণ ৪,১১,৯৭২ মেঃ টন। দেশের ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা পূরণের স্বার্থে ২০২১-২২ সনে যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তা লাগসই ও কৃষকের চাহিদাভিত্তিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে পারলেই কিশোরগঞ্জ জেলার কৃষি উৎপাদন আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস