চরশোলাকিয়া, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ শহর হতে রিক্সাযোগে বা পায়ে হেঁটে ।
জেলা প্রশাসন, কিশোরগঞ্জ
ইসলামের ঐশী বাণী প্রচারের জন্য সুদূর ইয়েমেন থেকে আগত শোলাকিয়া ‘সাহেব বাড়ির’ পূর্ব পুরুষ শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ তাঁর নিজস্ব তালুকে নরসুন্দা নদীর তীরে ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে ৭ একর জমির ওপর শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান প্রতিষ্ঠা করেন এবং তাঁর ইমামতীতে এখানে প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় কিংবদন্তী মতে, শাহ সুফী সৈয়দ আহমদ ঈদের জামাতের মোনাজাতে মাঠে মুসল্লীদের প্রাচুর্যতা প্রকাশে ‘সোয়া লাখ’ কথাটি ব্যবহার করেন। অন্য একটি মতে, সেদিনের সেই জামাতে সোয়া লাখ মানুষ জমায়েত হয়। উ”চারণের বিবর্তনে সোয়া লাখ থেকে সোয়ালাখিয়া এবং সেখান থেকে শোলাকিয়া শব্দটি প্রবর্তিত হয়েছে। ঈদগাহ মাঠে মোট ২৬৫টি সারি আছে। প্রতি সারিতে প্রায় ৬০০-৭০০ জন মুসুল্লি দাড়াবার ব্যব¯’া আছে। সে হিসেবে মাঠে প্রায় ০১ লাখ ৬০ থেকে ১ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে। বর্তমান শোলাকিয়া নামে পরিচিত এই এলাকাটির প্রাচীন নাম ছিল রাজবাড়ীয়া। ১৮২৮ সাল থেকে প্রতিবছর ১লা শাওয়াল ও ১০ই জিলহজ্ব যথাক্রমে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাযের আয়োজন হ”েছ এ ময়দানে। দীর্ঘদিনের রীতি অনুযায়ী শোলাকিয়ার ঈদ জামাত শুরুর ০৫ মিনিট, ০৩ মিনিট ও ০১ মিনিট পূর্বে শটগানে যথাক্রমে ০৩টি, ০২টি এবং ০১টি গুলির আওয়াজ করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস