Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
এগারসিন্দুর দুর্গ
Location

উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১১ কিঃ মিঃ দূরে মঠখোলা-মির্জাপুর-পাকুন্দিয়া সড়কের পাশে এটি অবস্থিত।

Transportation

ঢাকার মহাখালী থেকে জলসিঁড়ি ও অনন্যা পরিবহনের বাস সরাসরি পাকুন্দিয়া চলাচল করে। থানারঘাট নেমে এগারসিন্দুর যাওয়া যায় সহজে।

Contact

জেলা প্রশাসন, কিশোরগঞ্জ

Details

লাল মাটি, সবুজ গাছগাছালি আর ঐতিহাসিক নিদর্শনে সমৃদ্ধ এগারসিন্দুর। এটি ছিল ঈশা খাঁর শক্ত ঘাঁটি। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে এগারসিন্দুর। জনশ্রুতি আছে, বেবুধ নামে এক কোচ উপজাতি প্রধান ষোড়শ শতাব্দীতে এগারসিন্দুর দুর্গ নির্মাণ করেন। ঈশা খাঁ বেবুধ রাজার কাছ থেকে দুর্গটি দখল করেন এবং একে শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করেন। ১৫৯৮ সালে মান সিংহ দুর্গটি আক্রমণ করেন। এই এগার সিন্দুরেই ঈশাঁ খা ও মানসিংহের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয়েছিল। কথিত আছে - যুদ্ধের প্রাক্কালে ঈশা খা বলেছিল - সাধারন সৈন্যদের যুদ্ধে না জড়িয়ে দুই দলের দুই প্রধানের যুদ্ধ হোক । এর ফলেই ঈশা খা - মানসিংহের তরবারী লড়াই শুরু হয় । একপর্যায়ে ঈশা খার তরবারীর আঘাতে মান সিংহের তরবারী ভেংগে গে লে । ঈশা খা তাকে আঘাত না করে তার সেনা পতি কে বলেন মানসিংহকে আরেকটি তরবারী দিবার জন্য - তার এই মহানুভব দেখে মানসিংহ আর যুদ্ধ না করে, সন্ধির প্রস্তাব দেন। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে দুর্গটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তবে দুর্গের ভেতরে উঁচু একটি ঢিবি পাওয়া যায়, যেখান থেকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কামান দাগানো হতো। এগারসিন্দুরে আছে বেবুধ রাজার দিঘি, সাদী মসজিদ, শাহ মাহমুদ মসজিদসহ অনেক কিছু।